সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপকূলীয় অঞ্চলের সকাল থেকে সূর্যের দেখা যায়নি, তবে কুয়াশার ভিতর হালকা বৃষ্টি সাথে ঠান্ডা বাতাস লক্ষ করা যায়।সপ্তাহ জুড়ে প্রচন্ড শীতে জনজীবন কিছুটা নাজুক থাকলেও (১৮ জানুয়ারি)বৃহস্পতিবার উপকূলীয় অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায় ঠান্ডা মৃদু বাতাস সাথে বৃষ্টির কারণে শৈতপ্রভাব শুরু হয়েছে। শৈতপ্রবাবের কারনেই মানুষের আনাগোনা কম থাকলেও শ্রমজীবী মানুষের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
নীলডুমুর বাজারে ৮২ বছরের বৃদ্ধ বক্স সরদার বলেন,শীত যে হারে লাগেছে টিকে থাকা দায়,তার উপর ঠান্ডা বাতাস,বয়স হয়েছে অনেক কষ্টে আছি।
দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরার সোরা গ্রামের হাকিম শেখ জানান,শীত বাতাস পড়লে কি হবে কামাই করে খেতে হবে, গরিব মানুষের শীত লাগলে মুখে বলতে নেই।
এছাড়া উপজেলা সদর ইউনিয়ন বাদঘাটা গ্রামের (৭৫)বছর বয়সী নরসুন্দর নবী গাজী এমন ঠান্ডায় দোকান খুলেছেন কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,দোকান না খুললে খাব কি, সাত পেটের জোগন দিতে হয় কষ্ট হলেও কিছু করার নেই।
ঠান্ডা প্রকোপ বেশি হাওয়ায় উপজেলায় পক্ষ থেকে কতটা কম্বল বরাদ্দ আছে কিম্বা বিতরন করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলাম বলেন,আমাদের উপজেলার মোট কম্বল বরাদ্দ আছে সাড়ে পাঁচ হাজারে মত, ইউনিয়ন ভিত্তিক চারশত করে,মুক্তিযোদ্ধাদের দুইশত সত্তর,প্রতিবন্ধদের ত্রিশটি,আশ্রায়ণদের ত্রিশটি এছাড়া কিছু ছিন্নমূল দুস্থদের এখান থেকে দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। এছাড়া শীতের তিব্রতা বাড়ার কারণে শিশুদের ডায়রিয়া সহ শাষকষ্ট জানিত রুগী বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জনানা উপজেলা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
Leave a Reply